ড. কামালের ‘গ্রেপ্তার তালিকা’য় জামায়াতের ৪ প্রার্থী’র নাম

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের সাহস করে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট বিপ্লবে অংশ নেওয়ার আহবান জানিয়েছে ড. কামাল আহমেদ। আজ শুক্রবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনান ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটির আহবায়ক জগলুল হায়দায় আফ্রিক।

ওই লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রায় দুই ডজন প্রার্থী কারাগারে রয়েছেন। একইসঙ্গে একটি তালিকাও দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট। যাদের নাম জানানো হয়েছে তারা হলেন,

নরসিংদী-১ খায়রুল কবীর খোকন, কুমিল্লা-১০ মনিরুল হক চৌধুরী, গাজীপুর-৫ ফজলুল হক মিলন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিউর রহমান, টাঙ্গাইল-২ সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, চট্টগ্রাম-৯ ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম-৪ আসলাম চৌধুরী, গোপালগঞ্জ-৩ এস এম জিলানী, রাজশাহী-০৬ মো. আবু সাঈদ চাঁদ, মাগুরা-১ মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, সাতক্ষীরা-২ মুহাম্মদ আবদুল খালেক, খুলনা-৬ আবুল কালাম আজাদ, ঠাকুরগাঁও-২ মাওলানা আবদুল হাকিম, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১ রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, যশোর-২ আবু সাঈদ মো. শাহাদাত।

এখানে উল্লেখ্য আ ন ম শামসুল ইসলাম, এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা আবদুল হাকিম, গাজী নজরুল ইসলাম জামায়াতের প্রার্থী। তারা ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, নেতাকর্মী-সমর্থকদের মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।

ঐক্যফ্রন্টকে প্রচারণায় নানাভাবে বাধা দেওয়া ও গণগ্রেপ্তারের বিষয়টি আজ সবার জানা। তারপরও ভোটাররা কিন্তু থেমে নেই। তারা নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিয়ে যার যার এলাকায় ফিরে গেছেন কাঙ্ক্ষিত ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য। তারা মূলত ভোট উৎসবের অপেক্ষায়। তাই যতই বাধা দেওয়া হোক না কেন, এই ভোটারদের কেউ ধমিয়ে রাখতে পারবে না। এমনকি রাজধানী ঢাকার রাস্তাঘাট প্রায় খালি হয়ে গেছে। সবাই স্বউদ্যোগে নিজ নিজ এলাকায় চলে গেছেন ভোট উৎসবে অংশ নেওয়ার জন্য।